পায়ের যত্ন নেবেন কীভাবে
 December 17, 2021
December 17, 2021
                                        
                                            
                                             3283 Views
3283 Views
                                        
                                        
                                            
                                     
                                        অনেকেই মানে যারা সৌন্দর্য সচেতন তারাও অনেক সময় পায়ের যত্ন নিতে অবহেলা করেন।
আবার অনেকে পা বলতে শুধু পায়ের পাতাকে বোঝেন। তাই বাকি অংশের যত্নের বিষয়ে অনেকেই সচেতন নন বা অনেকেই ভুলবশত এড়িয়ে যান। আর গরমের সময় পায়ের অনেকটাই দিনের বেশির ভাগ সময় উন্মুক্ত থাকে। তাই যত্ন নিতে হবে পুরো অংশের। সঙ্গে বিশেষ নজর দিতে হবে পায়ের পাতার প্রতিও। বাইরে যাওয়ার আগে পায়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। অনেকে বাইরে যাওয়ার আগে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করতে চান না, কারণ তাতে সহজেই ময়লা আটকে যায়।
রোজ রোজ যারা বাড়ির বাইরে যান পায়ে ধুলোবালি লেগে পা নোংরা হয়ে যায়। নিয়মিত পায়ের পরিচর্যা করার সময় পান না যারা, তারা একটু যত্ন নিন পায়ের।
* গরমের সময় ওয়াক্সিং থেকে বিরত থাকা উচিত। এ সময় শেভিং ভালো সমাধান। কারণ, ওয়াক্সিংয়ের ফলে ত্বক অনেক সময় রুক্ষ হয়ে যায়। র্যাশও হতে পারে। হেয়ার রিমুভিং ক্রিমকে অনেকে ঝামেলাহীন সহজ সমাধান মনে করে। এরও রয়েছে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। যেমন ত্বকে কালো ছোপ পড়ে যাওয়া। তাই গরমে শেভিংই সবচেয়ে নিরাপদ উপায়।
* গোসলের সময় পা পানি দিয়ে ভিজিয়ে প্রথমে ভালোভাবে স্ক্রাব করে নেওয়া উচিত। চাইলে এ স্ক্রাবার ঘরেই তৈরি করা যায়। চালের গুঁড়া, ওটমিল, বেসন, কফি ইত্যাদি দিয়ে তৈরি করা যায় স্ক্রাব। ভালোভাবে স্ক্রাব করলে শেভিংও ভালো হবে।
* স্ক্রাবিং করার পর শেভিং করলে ত্বকে র্যাশ হওয়ার আশঙ্কা কমে। বডি হেয়ার শেভ করতে অনেকে শেভিং ক্রিম ব্যবহার করেন। তবে শেভিং ক্রিমে ত্বক শুষ্ক ও ইরিটেটেড হতে পারে। এ ক্ষেত্রে শাওয়ার জেল বা বডি ওয়াশ ভালো সমাধান হতে পারে।
* শেভ করার পর পায়ের বাড়তি যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। কারণ, পায়ের ত্বক এ সময় অতিরিক্ত সেনসেটিভ থাকে। গোসলের পর নরম টাওয়েল দিয়ে পানি মুছে প্রথমে সুদিং লোশন ব্যবহার করা যায়, যা ত্বক ঠান্ডা করবে। এরপর নারিশিং বডি লোশন লাগাতে হবে। চাইলে দুই ঘণ্টা পর আবার বডি লোশন লাগাতে পারেন।
* ত্বক বেশি শুষ্ক হলে দ্বিতীয়বার লোশন না লাগিয়ে বডি অয়েল বা অলিভ অয়েল লাগালে ভালো ফল পাওয়া যাবে। এতে ত্বক দীর্ঘক্ষণ ময়শ্চারাইজড থাকবে, উজ্জ্বলতাও বাড়বে।
* পায়ের ত্বকে কালচে দাগ দেখা দিলে ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করাই ভালো। এ জন্য ১ চা-চামচ ময়দা ও ১ চা-চামচ বেসনের সঙ্গে টক দই ও টমেটোর রস মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে পুরো পা বা কালচে হয়ে যাওয়া জায়গায় আধঘণ্টা লাগিয়ে রাখতে হবে। শুকিয়ে গেলে সরাসরি না ধুয়ে ভেজা হাত দিয়ে ঘষে তারপর ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে দুদিন এ প্যাক ব্যবহারে এক মাসের মধ্যে ত্বকের কালচে দাগ অনেকাংশে দূর হয়ে যাবে।
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে যা রকরতে হবে:
রাতে ঘুমানোর আগে সব কাজ সেরে বিছানায় বসে পায়ে বেশি করে তেল বা পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে নিন। এরপর ঘুমানোর আগে আর নামবেন না। তেল আর পেট্রোলিয়াম জেলি দুটিই উপকারী। তবে তেল একটু পাতলা প্রকৃতির বলে খুব বেশিক্ষণ থাকে না। পেট্রোলিয়াম জেলিটাই বেশি সময় থাকে। সকালে পায়ের অনুভূতিটাই হবে সতেজ, বিশেষ করে গোড়ালিতে।
বাইরে গেলে
বাইরে যাওয়ার আগে পায়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। অনেকে বাইরে যাওয়ার আগে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করতে চান না, কারণ তাতে সহজেই ময়লা আটকে যায়। এ অভ্যাসটি একেবারেই ঠিক নয়। ধুলো-ময়লা সরাসরি ত্বকে না লেগে পেট্রোলিয়াম জেলির স্তরের ওপর আটকালেই বরং তা পরিষ্কার করা সহজ হয়। রোদে বেরোনোর আগে ইচ্ছা হলে পায়ের ত্বকে সানস্ক্রিনসামগ্রী ব্যবহার করতে পারেন। আবার তা না করলেও খুব একটা ক্ষতি নেই। সময়-সুযোগ পেলে বাইরে কোথাও পা ধুয়ে নিন। চাইলে ওয়েট টিস্যুও ব্যবহার করতে পারেন। পা ধোয়ার সুযোগ পাবেন মনে করলে এমন জুতা পরেই বেরোনো ভালো, যা ভিজলেও কোনো সমস্যা না হয়।
পায়ের ত্বক খুব সংবেদনশীল হলে পা-ঢাকা জুতা পরাই ভালো।
তথ্যসূত্র: সময় নিউজ



 
                                