রসুনের কিছু আশ্চর্যজনক উপকারিতা
 January 25, 2018
January 25, 2018
                                        
                                            
                                             11584 Views
11584 Views
                                        
                                        
                                            
                                    মসলা হিসেবে রসুনের ব্যবহার সৃষ্টির শুরু থেকে চলে আসছে। অনেক আগে থেকেই এটি ওষুধ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কাঁচা বা সিদ্ধ রসুন সেবনে শরীর সুস্থ থাকে আর নিয়মিত সেবনে অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আসুন জেনে নেই রসুন খাওযার বিভিন্ন উপকারিতাসমূহ।
মসলা হিসেবে রসুনের ব্যবহার সৃষ্টির শুরু থেকে চলে আসছে। অনেক আগে থেকেই এটি ওষুধ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কাঁচা বা সিদ্ধ রসুন সেবনে শরীর সুস্থ থাকে আর নিয়মিত সেবনে অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আসুন জেনে নেই রসুন খাওযার বিভিন্ন উপকারিতাসমূহ।
১। রক্ত পরিষ্কার রাখতে
রসুনে রয়েছে রক্ত পরিষ্কার করার গুনাগুন। দিনে প্রচুর পরিমাণ পানি পান করার পাশাপাশি দৈনিক সকালে দুটি রসুনের কোয়া ও এক গ্লাস গরম পানি সেবন করলে রক্ত পরিষ্কার হয় এবং ত্বক ভালো থাকে। রসুনের সঙ্গে পান করা গরম পানিতে কিছুটা লেবুর রস দিয়ে খেলে তা দেহের ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
২। জ্বর ও ঠান্ডা মোকাবেলায়
অনেকে প্রায়শই ঠান্ডা ও জ্বরে ভোগেন । রসুন এমন ব্যক্তিদের জন্য একটি মহৌষধ হতে পারে। প্রতিদিন দু-তিন কোয়া কাঁচা রসুন খেলে তা জ্বর আর ঠান্ডা দূর করতে খুবই সহায়ক। এ ছাড়া রান্না বা চায়ের সঙ্গেও রসুন খাওয়া যেতে পারে। রসুনের গন্ধ সহ্য করতে না পারলে তার সঙ্গে কিছু আদা ও মধু মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে। নিয়মিত এভাবে রসুন সেবনে ঠান্ডা ও জ্বর শুধু সাময়িক দূরই হবে না বরং শরীরে উক্ত সমস্যা সমূহের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতাও অনেক বেড়ে যাবে।
৩। ত্বক ও চুলের যত্নে
নিয়মিত রসুন খেলে ত্বক সুন্দর হয় ও বয়সের ছাপ দূর হয়। এ ছাড়া ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে ত্বককে রক্ষা করতে নিয়মিত রসুন সেবন করতে হবে। চুল পড়া বন্ধ ও নতুন চুল গজাতেও রসুন ভালো কাজ করে। এজন্য মাথায় নিয়মিত রসুনের নির্যাস বা রসুন সমৃদ্ধ তেল ব্যবহার করতে পারেন।
৪। ব্যাকটেরিয়া ও পেটের কৃমি নিরাময়ে
রসুন দেহের ভিতরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া এবং পেটের কৃমি ধ্বংস করতে সাহায্য করে। রসুনের নির্যাস থেকে ‘মাউথ ওয়াশ’ তৈরি করা যায় যা নিয়মিত ব্যবহারে দাঁতের মাড়িতে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারেনা।
৫। হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে
রসুনের রয়েছে রক্তে কেলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর গুনাগুন। এতে থাকা সালফার-ভিত্তিক যৌগ “অ্যালিসিন” মূলত স্বাস্থ্যে এই ইতিবাচক প্রভাবে সাহায্য করে। এজন্য কাঁচা রসুন সেবন সবচেয়ে ভালো কারণ সিদ্ধ করলে এতে থাকা অ্যালিসিনের ঔষধিগুণ কমে যায়। রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রনের পাশাপাশি রক্তচাপ ঠিক রাখতেও রসু্নের ভুমিকা রয়েছে।
৬। ক্যানসার প্রতিরোধে
নিয়মিত রসুন সেবনে শরীরে সব ধরনের ক্যানসার প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি হয়। নিয়মিত কাঁচা ও রান্না করা রসুন খাওয়ার মাধ্যমে পাকস্থলী ও কোলন ক্যানসারকে প্রতিরোধ করা যায়। মেয়েদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে রসুন কার্যকরী। এছাড়া রেক্টাল ক্যান্সার ও প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধেও রসুন অনেক বড় ভূমিকা পালন করে।
হাজার বছর ধরে খাবার আর ওষুধ, দুই রূপেই রসুন ব্যবহার হয়ে আসছে। রসুন খেলে অনেকেরই অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে। তাই ত্বকে কোনো সমস্যা দেখা দিলে, যেমন দেহের তাপ বা মাথাব্যথা বেড়ে গেলে সাথে সাথে রসুন খাওয়া বন্ধ করতে হবে। হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট আছে এমন ব্যক্তিদের রসুন ব্যবহারে সাবধান থাকা উচিত। আর চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া বেশি পরিমাণে রসুনের কোয়া খাওয়া যাবে না।



 
                                