পেটের মেদ কিভাবে কমাবেন
 October 1, 2022
October 1, 2022
                                        
                                            
                                             2678 Views
2678 Views
                                        
                                        
                                            
                                    পেটের মেদ একটি বিব্রতকর বিষয়। উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার যে পেটের মেদ বাড়ায় তা নয়, বেশি ক্যালরিযুক্ত যেকোনো খাবারই পেটের মেদ বাড়াতে পারে। একবার পেটে মেদ জমলে সেটা কাটিয়ে ওঠা যাবে না, এ ধারণা ভুল। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে অভ্যস্থ হলে সহজে মেদ কমিয়ে ফেলা সম্ভব
পেটে মেদ জমার কারনঃ
মিষ্টিজাতীয় খাবার অতিরিক্ত গ্রহণ,
ডুবো তেলে ভাজা খাবার,
কোমল পানীয়,
অস্বাস্থ্যকর বাইরের খাবার,
নিয়মিত লাল মাংস (রেড মিট) খাওয়া,
স্যাচুরেটেড চর্বি গ্রহণ ইত্যাদি পেটের মেদ বাড়িয়ে
তোলার পেছনে ভূমিকা রাখে।
অধিক রাতে ডিনার, দেরিতে সকালের খাবার খাওয়া,
সাধারণত মদ্যপান,
যখন একই তেল বারবার ব্যবহার করা হয়, তখন সেখানে ট্রান্সফ্যাট উৎপন্ন হয়। ট্রান্সফ্যাট পেটের মেদ বাড়িয়ে দেয়।
নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস ও সঠিক জীবনযাপনের মাধ্যমে আমরা শরীরের বাড়তি মেদ জমা বা ভুঁড়ি হওয়া থেকে রক্ষা পেতে পারি।
পেটের মেদ কমানোর উপায়:
সারাদিন এর খাবার:
সকালের খাবার থাকবে সবসময় বেশি, দুপুরে মাঝারি এবং রাতের খাবার হবে সবচেয়ে হাল্কা।
সকাল শুরু করতে হবে এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে:
এতে লেবুর রস মিশিয়ে ও পান করে।তে পারেন। এতে শরীরের হজমপ্রক্রিয়া ভালো থাকবে এবং শরীরে মেদ জমার প্রক্রিয়া ধীর হবে।
টক দই :
প্রতিদিন টক দই খাওয়ার ফলে এর প্রোবায়োটিকস উপাদান কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। দইয়ে থাকা স্বাস্থ্যকর ব্যাক্টেরিয়া হজমে সাহায্য করে। তাছাড়া টক দেই কোমর ও পেটের মেদ কমাতেও সাহায্য করে।
গ্রিন-টিতেঃ আছে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, যা পেটের মেদ কমাতে খুব বেশি কার্যকর। তাই দুধ ও চিনি বেশি দিয়ে চা পানের অভ্যাস বদলে নিন গ্রিন-টিতে।
পর্যাপ্ত পানি পানঃ
ওজন কমানোর মূল চাবি কাঠি হল পর্যাপ্ত পানি পান। নিজেকে আর্দ্র রাখার পাশাপাশি এটা অস্বাস্থ্যকর খাবারের চাহিদা কমায়। খাবারের আগে পানি পান অতিরিক্ত খাওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস করে ফলে পেটে চর্বি জমা হওয়ার ঝুঁকি
ফাইবার যুক্ত খাবার খাওয়া: যেমন—লাল চাল বা লাল আটার তৈরি খাবার এবং শাকসবজি ও ফলমূলজাতীয় খাবারে মিলবে আঁশ।
ওমেগা-৩ ফ্যাটিঅ্যাসিডেঃ
আখরোট, কাঠবাদাম ও সামুদ্রিক মাছ, ইতাদি ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের উৎস। তাই এসব খাবার পেটের মেদ কমাতে কার্যকর।
দারুচিনি, আদা, গোলমরিচ: এসব রান্নায় ব্যবহার করুন। এই মসলা স্বাস্থ্যকর ও পেটের মেদ কমাতে কার্যকর।অালাদা করে পানির সাথে ও খাওয়া যায়।
খাবার খাওয়া র পর পরে ই শুয়ে না থাকা:
অনেকেই খাবার খাওয়ার পর বসে থাকেন বা শুয়ে পড়েন। তাদের খাবার সঠিকভাবে পরিপাক হয় না, ফলে পেটে চর্বি জমতে থাকে। সে জন্য খাবার খাওয়ার পর একটানা শুয়ে-বসে না থেকে ১৫ থেকে ২০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করা উচিত।
নিয়মিত ব্যায়ামে:
পেটের মেদ কমানো জন্য নিয়মিত ব্যায়ামের বিকল্প নেই। সকালে খালি পেটে ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা ব্যায়াম করার জন্য বেছে নিতে পারেন। যদি সকালে সম্ভব না হয় তাহলে সন্ধ্যা বা রাতের দিকেও করতে পারেন।
টেনশন ও দুশ্চিন্তা:
অতিরিক্ত টেনশনে কোমরের চারপাশে বা পেটে মেদ জমতে পারে। তাই ভুঁড়ি কমাতে অবশ্যই চিন্তামুক্ত জীবনযাপন করতে হবে।
যারা desk job করেন:
যাঁদের সারা দিন টেবিল–চেয়ারে বসে কাজ করতে হয়, তাঁদের পেটে সহজে মেদ জমে যায়। ভুঁড়ি গোল হতে শুরু করে। তাই তাঁদের উচিত ৩০-৪০ মিনিট বসে কাজ করার পর উঠে ১০-১৫ মিনিট হাঁটাহাঁটি করা।
অতিরিক্ত খাবার বা Over eating না করা:
একবারে কখনও ই অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করা উচিত না,অনেক্ষন ধরে চিবিয়ে অল্প অল্প করে খাবার গ্রহণ করা উচিত।



 
                                